• রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মিথ্যা অভিযোগে শিকার দিলীপ কুমার আগরওয়ালা  দীর্ঘদিন কারাগারে সমাজ কল্যাণের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে উম্মুল খায়ের সিদ্দিকা!! ‘শিগগিরই একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চায় ঐকমত্য কমিশন’ পিএসদের দুর্নীতির কথা শুনলে আনন্দে ডিগবাজি দেবেন শেখ হাসিনা: রিজভী ফরিদপুরে সরকারি জমিতে পলাতক এমপির নজর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বড় ৭ পদক্ষেপ হাসপাতালের টয়লেটের ঝুড়িতে মিলল নবজাতকের মরদেহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট এর কাছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির চাঁদা দাবী, না হয় বদলির হুমকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই পৃথিবী গঠনের আহ্বান ড. ইউনূসের মায়ের বুক খালি করা রাজনীতি আমরা চাই না : ধর্ম উপদেষ্টা

অন্যকে ইফতার করালে যে সওয়াব

২৪ ঘন্টা / ৮২
বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫

রমজান মাসে মুসলমান নারী-পুরুষ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সকাল-সন্ধ্যা উপবাস পালন করেন। সূর্যাস্তের সময় ইফতারির মাধ্যমে সেই উপবাস ব্রত ভাঙা হয়। ধনীরা সাধ্যমতো ইফতারির ব্যবস্থা করতে পারলেও অনেক মানুষের পক্ষে তা কঠিন হয়। এজন্য ইসলামে অন্যকে ইফতার করানোর প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। কোনো রোজাদারকে ইফতার করালে আল্লাহতায়ালা নিজের পক্ষ থেকে তার প্রতিদান দেন। রোজাদারের আমল থেকে নয়। অন্যকে ইফতার করালে রোজাদারের কোনো নেকি কমানো হবে না। এটা বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। রমজানে রোজাদারকে ইফতার করানো হলো মুমিনের বিশেষ আমল। এ বিশেষ আমলের বিনিময়ে মহান আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। এ ছাড়া রয়েছে অনেক সওয়াব ও ফজিলত। অন্য রোজাদারকে ইফতার করানো প্রসঙ্গে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়াব বৃদ্ধির আমল এবং গুনাহ মাফের আমল হিসেবে ঘোষণা করেছেন। হাদিসে এসেছে, হজরত যায়েদ ইবনে জুহানি (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে, ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে। তবে ওই রোজাদারের সওয়াবে কোনো কম করা হবে না।’ সাহাবায়ে কেরাম এ কথা শুনে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের অনেকেরই রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘পানি মিশ্রিত এক কাপ দুধ বা একটি শুকনো খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দিয়েও যদি কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তাতেও আল্লাহ তাকে সেই পরিমাণ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে তৃপ্তি সহকারে আহার করাবেন, আল্লাহতায়ালা তাকে হাউসে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত তৃষ্ণার্ত হবে না।’ (মিশকাত)।

অনেকে মনে করেন, ইফতার করালে দাওয়াতকারী ব্যক্তি রোজার পুরো সওয়াব পেয়ে যাবেন। এটি একটি ভুল ধারণা। উল্লিখিত উভয় হাদিসে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, দাওয়াতকারী ব্যক্তি রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবেন এবং রোজাদারের সওয়াবও বিন্দু পরিমাণ কমানো হবে না। সুতরাং সামর্থ্য অনুযায়ী রোজাদারকে ইফতার করানোর মাধ্যমে সওয়াব অর্জনের চেষ্টা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামী চিন্তাবিদ


এই ক্যাটেগরির আরও খবর