• রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মিথ্যা অভিযোগে শিকার দিলীপ কুমার আগরওয়ালা  দীর্ঘদিন কারাগারে সমাজ কল্যাণের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে উম্মুল খায়ের সিদ্দিকা!! ‘শিগগিরই একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চায় ঐকমত্য কমিশন’ পিএসদের দুর্নীতির কথা শুনলে আনন্দে ডিগবাজি দেবেন শেখ হাসিনা: রিজভী ফরিদপুরে সরকারি জমিতে পলাতক এমপির নজর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বড় ৭ পদক্ষেপ হাসপাতালের টয়লেটের ঝুড়িতে মিলল নবজাতকের মরদেহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট এর কাছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির চাঁদা দাবী, না হয় বদলির হুমকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই পৃথিবী গঠনের আহ্বান ড. ইউনূসের মায়ের বুক খালি করা রাজনীতি আমরা চাই না : ধর্ম উপদেষ্টা

অবিলম্বে ছাত্রদল নেতা রাসেলকে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবী রিজভীর

২৪ ঘন্টা / ১২৭
মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪


অবিলম্বে ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গত ১ জুলাই সোমবার তাকে গোয়েন্দা পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়েছে। ৮দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়নি বা আদালতে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে পরিবার, তার বাবা, তার মা, তার আত্মীয়স্বজন ও দলের নেতাকর্মীর প্রত্যেকে গভীর উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন। বাবা-মায়ের যে আকুতি তা ভাষায় বর্ণনা করার মত নয়। তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে তুলে নিয়ে গেছে তা অনেকে দেখেছেন এবং সে গোয়েন্দা হেফাজতে রয়েছে বলে দাবী করেন রিজভী। তিনি আজ নয়াপল্টনে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

এই ঘটনা অত্যান্ত মর্মান্তিক ও মর্মস্পর্শী উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, এই ধরনের তরুণদেরকে নিরুদ্দেশ করে দেয়া হচ্ছে কারণ তারা মানুষের পক্ষে কথা বলে, গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, গণতন্ত্রের পক্ষে স্লোগান দেয়। তাদের স্লোগান স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিষ্ঠুর দমন-নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আতিকুর রহমান রাসেলদের মতো তরুণদের নিরুদ্দেশ করে দেয়া হচ্ছে, নিখোঁজ করে দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দেশ এক শ^াসরুদ্ধকর অবস্থায় অতিক্রম করছে। মানুষের অধিকারগুলো দখলদার সরকার একের পর এক হরণ করেছে। মানুষ অধিকার বঞ্চিত, গণতন্ত্রে মানুষের যে অধিকারগুলো স্বীকৃত সে অধিকারগুলোকে মানুষ যাতে প্রয়োগ করতে না পারে তার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে শেখ হাসিনা ইচ্ছে পূরণ করতে পারেন। এই বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে কেউ যেন কথা না বলতে পারে। তার বিরুদ্ধে কেউ যেন মিছিল না করতে পারে। এদেশে কেউ যেন সমাবেশ না করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান কাটাছেঁড়া করার পরেও গণতন্ত্রের যে অধিকারগুলো আছে সেই অধিকারগুলো সরকারি যন্ত্র দিয়ে নানাভাবে দমন করছে। এই দমন পৈশাচিক, এই দমন নিষ্ঠুর, এই দমন রক্তাক্ত।
তিনি বলেন, যতো দিন যাচ্ছে ততো একের পর এক সরকারের কুকীর্তি বেরিয়ে আসছে। শেখ হাসিনা যাদেরকে দিয়ে বিরোধী দমন করেছেন তারা এদেশের জনগণের সম্পদ-অর্থ লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে এবং দেশের মধ্যেও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে। নবাবদেরও এতো সম্পদ ছিলো না। তিনি বলেন লুটপাট আর দূর্নীতির কারণে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, রাজকোষ শূণ্য হয়ে গেছে। দেশটা তিনমাস যে চলবে সেই প্রয়োজনীয় অর্থ এখন ব্যাংকে নেই। যারা ঋণখেলাপি হয়েছেন এক লক্ষ বিরানব্বই হাজার কোটি টাকার তাদেরকে নিয়ম করে সুদ মওকুফ করে দেয়া হয়েছে। যারা লুটপাট করেছে, টাকা পাচার করেছে তারা সকলেই ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ লোক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।


এই ক্যাটেগরির আরও খবর